অনুমতি ছাড়া বিজ্ঞাপনে শাহ আব্দুল করিমের গান ব্যবহার, ২০ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ দাবি
- আপলোড সময় : ০২-০৯-২০২৫ ০৯:৩৪:২৪ পূর্বাহ্ন
- আপডেট সময় : ০২-০৯-২০২৫ ০৯:৩৪:২৪ পূর্বাহ্ন

সুনামকণ্ঠ ডেস্ক ::
বাউল সম্রাট শাহ আবদুল করিমের কপিরাইটকৃত গান অনুমতি ছাড়াই দেশের শীর্ষ মোবাইল অপারেটর গ্রামীণফোনের বিজ্ঞাপনে ব্যবহারের অভিযোগ উঠেছে। এজন্য প্রতিষ্ঠানটিকে আইনি নোটিশ পাঠানো হয়েছে। করিমের ছেলে শাহ নূরজালালের পক্ষে এই নোটিশ পাঠিয়েছেন বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার রাজিন আহমেদ।
আইনি নোটিশে বলা হয়েছে, গ্রামীণফোন অনুমতি বা স্বীকৃতি ছাড়াই শাহ আবদুল করিমের দুটি গান ‘রঙিলা বাড়ৈ’ এবং ‘কোন মিস্তরি নাও বানাইছে’ বাণিজ্যিকভাবে ব্যবহার করেছে।
২০১৬ এবং ২০২২ সালে প্রচারিত দুটি বিজ্ঞাপনে এসব গান ব্যবহৃত হয়েছে বলে দাবি করা হয়। নোটিশে আরও উল্লেখ করা হয়, এ ধরনের ব্যবহার কপিরাইট আইন এবং শিল্পীর নৈতিক অধিকার লঙ্ঘনের শামিল।
নোটিশে গ্রামীণফোনকে ৭২ ঘণ্টার মধ্যে সব অনলাইন ও অফলাইন প্ল্যাটফর্ম থেকে ওই গানসম্বলিত কনটেন্ট সরিয়ে ফেলতে বলা হয়েছে। একই সঙ্গে শাহ আবদুল করিমকে যথাযথভাবে স্বীকৃতি দিয়ে প্রকাশ্যে ক্ষমা চাওয়ার দাবি জানানো হয়েছে। ক্ষতিপূরণ হিসেবে চাওয়া হয়েছে ২০ কোটি টাকা। প্রতিটি গানের জন্য ১০ কোটি করে এই ক্ষতিপূরণ চাওয়া হয়েছে।
আইনি নোটিশ প্রদানকারী ব্যারিস্টার রাজিন আহমেদ বলেন, ‘শাহ আবদুল করিমের গান কেবল সংগীত নয় - এগুলো বাংলাদেশের সাংস্কৃতিক ও আধ্যাত্মিক ঐতিহ্যের অংশ। ‘রঙিলা বাড়ৈ’, ‘কোন মিস্তরি নাও বানাইছে’ দুইটি গান ব্যাবহার করেছে গ্রামীণফোন। অনুমতি ছাড়া বাণিজ্যিকভাবে ব্যবহার কেবল অবৈধ নয়, বরং চরম অসম্মানজনক। আমরা তার উত্তরাধিকার রক্ষায় আইনের সর্বোচ্চ ব্যবস্থাই গ্রহণ করবো।
শাহ আবদুল করিমের ছেলে শাহ নূরজালাল বলেন, আমরা গ্রামের মানুষ। আইন-কানুন অতোটা বুঝি না। বাবার সব গান কপিরাইট করা আছে। এমনি অনেকেই গান করেন সেটা ভিন্ন বিষয়। কিন্তু বাণিজ্যিকভাবে গান ব্যবহার করলে আমাদের অনুমতি নেওয়া উচিত। সেখান থেকে যে আয় হয় তারও একটা অংশ আমাদের দেওয়া উচিত। তা না হলে কেমন হয় বিষয়টা।
নিউজটি আপডেট করেছেন : SunamKantha
কমেন্ট বক্স
সর্বশেষ সংবাদ